শাহবাগ আন্দোলন সম্পর্কে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির বিবৃতি

শাহবাগ আন্দোলন এবং আমাদের অবস্থান

 

(সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কমিটি, PBSP(MBRM) কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত। ৪র্থ সপ্তাহ, মার্চ’১৩)

 শাহবাগ আন্দোলনের শুরু হয়েছিল ব্লগার ও ইন্টারনেট এক্টিভিস্টদের উদ্যোগে। শ্রেণিগতভাবে স্বচ্ছল শহুরে মধ্যবিত্তদের দ্বারা সূচিত এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা। যারা এই আন্দোলনের শুরু করেছিলেন, তারা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী সরকারের প্রতি অনাস্থায় ভূগছিলেন যে, সরকার যুদ্ধাপরাধের সঠিক বিচার করবে না। তৎকালে সংঘটিত ঘটনাবলী তাদের শঙ্কা ও সন্দেহকে বদ্ধমূল করছিল। কিন্তু আন্দোলনের নেতৃত্ব পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের দ্বারা দখল হয়ে যায়। এখন শাহবাগ আন্দোলন হচ্ছে আওয়ামী ভাবাদর্শ প্রচার ও তার নির্বাচনী রাজনীতির উৎরাই পাড়ি দেবার হাতিয়ার।

 শাহবাগ আন্দোলনের সাথে এখনো অনেক দেশপ্রেমিক, সৎ এবং নয়া প্রজন্মের তরুণ-যুবকেরা সংশ্লিষ্ট। তাদের বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করার জন্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত আর তাদের দোসররা পরস্পর বিপরীত দিক থেকে সচেষ্ট। তাদের পরস্পর বিরোধিতা সত্ত্বেও, তাদের অভিন্ন মূল অবস্থান হচ্ছে, শাহবাগ আন্দোলন যাতে কোনোভাবেই বুনিয়াদি জনগণের সাথে, গ্রামাঞ্চলের কৃষক জনগণ এবং শহরাঞ্চলের শ্রমজীবী মেহনতি শ্রমিক জনগণের সাথে সম্পর্কিত হতে না পারে। কেননা, শাহবাগ আন্দোলন গণসম্পর্কিত আন্দোলনে পরিণত হলে, লুটেরা শাসকশ্রেণির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত-জাতীয়পার্টি প্রভৃতি সকলের জন্যই বিপদ। একারণে আওয়ামীলবী ইতিহাস বিকৃতি এবং বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় রাজনীতির উপর ভর করছে। শাহবাগ আন্দোলন আওয়ামীলবীর ইতিহাস বিকৃতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে বিএনপি শাহবাগ আন্দোলনের বিপক্ষে ধর্মীয় রাজনীতির উপর ভর করেছে।

 ’৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের বড় দুই হোতা মার্কিন-পাকিস্তান এবং রুশ-ভারত আর আওয়ামী নেতাদের যুদ্ধাপরাধের কথা শাহবাগ আন্দোলনে আলোচিত হচ্ছে না। আওয়ামী নেতাদের কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির কথা এবং মুক্তিযুদ্ধের দিশারী বামপন্থী নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে হত্যার কথাও আলোচিত হচ্ছে না। প্রত্যক্ষ যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানী সেনাদের কারা নিরাপদে চলে যেতে দিয়েছে? গত ৪১ বছর কেন যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়নি? এখন কেন বিচারের ধূয়া তোলা হচ্ছে? এসবের কিছুই আলোচিত হচ্ছে না শাহবাগ আন্দোলনে। রাজাকার বা সহযোগীদের বিচার চাওয়া হচ্ছে অথচ দেশীয়-আন্তর্জাতিক মূল হোতাদের বিষয়ে কিছুই বলা হচ্ছে না।

 এ কথা সত্য যে, জামায়াত সংগঠন হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ছিল। তারা পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর দোসর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গর্ব করে বলার মতো তাদের কোনো অবদান নেই। আছে কালিমালিপ্ত নিন্দনীয় ঘৃণ্য রক্তাক্ত ইতিহাস। কাজেই বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই তারা কখনো আওয়ামী লীগ, আবার কখনো বিএনপির ছত্রছায়ায় থেকে রাজনীতি করছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিই জামায়াতকে টিকিয়ে রাখছে এবং সুবিধা অনুযায়ী ‘জামায়াত কার্ড’ খেলছে। জামায়াত সংগঠন হিসেবেই ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সংগঠন। প্রকাশ্যে থাকুক বা নিষিদ্ধ হয়ে গোপনে থাকুক তাতে তার ফ্যাসিস্ট চরিত্রের পরিবর্তন হবে না। তাই তাকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করে ফেলাটাই আসল কর্তব্য।

 ’৭১ সালে বিএনপি ছিল না, কাজেই সংগঠন হিসেবে তার ভূমিকাও ছিল না। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন শক্তির সমন্বয়ে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি গড়ে ওঠে। এবং বিকশিত বড় ধনীদের স্বার্থরক্ষাকারী দল হিসেবে নিজেকে সামনে আনে। আওয়ামী লীগ বিরোধী বাম ও ডান সব ধরনের শক্তিকে একত্রিত করে তথাকথিত ভারসাম্যের যে রাজনীতি জিয়াউর রহমান চালু করেছিল, তা ক্রমান্বয়ে ও ক্রমবর্ধিত হারে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর উপর বিএনপির নির্ভরতা বৃদ্ধি করে। ফলে এরাই ‘জামায়াত কার্ড’ সবচেয়ে বেশি খেলেছে ও খেলছে।

 আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের একক নেতৃত্বকারী দল হিসেবে দাবি করে এবং সব কৃতিত্ব নিজের বলে প্রচার করে। ফলে নিজেকে এই দেশের ভাগ্য বিধাতা এবং দেশটিকে নিজেদের অবাধ লুটের ক্ষেত্র বলে মনে করে। তাকে বহাল রাখার জন্যই হত্যা, গুম, নির্যাতন, ইতিহাস বিকৃত করা প্রভৃতি যাবতীয় মন্দ কাজের আমদানী ও নেতৃত্বকারী সংগঠন হিসেবে নিজেকে সামনে এনেছে।

 শাহবাগ আন্দোলন আওয়ামী লীগকেই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী সংগঠন হিসেবে সামনে আনছে, এভাবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস বিকৃতিকে সহায়তা করছে এবং আওয়ামী ভাবাদর্শের প্রচারের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বকারীরা আওয়ামী সরকারের কাছেই দাবি-দাওয়া পেশ করছে, সরকারি মদদে আন্দোলন পরিচালনা করছে, এবং এসবের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে এই হাস্যকর উদাহরণ সৃষ্টি করছে যে, সরকারি মদদে, সরকারি ছত্রছায়ায়, সরকারি বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণের প্রকৃত কোনো আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে। আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক কাল থেকেই ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সংগঠন এবং তারা যখন সরকার গঠন করে তখন তা হয় ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সরকার। ইতোপূর্বকার ইতিহাস তার সাক্ষী। সেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী সরকার শাহবাগ আন্দোলনের প্রতি এত নমনীয় হলো কেন? এর কারণ একটাই, শাহবাগ আন্দোলন বর্তমানে তাদেরই স্বার্থের সেবা করছে।

 প্রকৃত সত্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী সংগঠন নয়। তারা সংগঠন হিসেবে কখনই স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করেনি এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টাও করেনি। আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে ’৭১ সালের ২৫ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত অখণ্ড পাকিস্তানের রাজনীতি করেছে, শেখ মুজিব অখণ্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখেছে ও চেষ্টা করেছে। স্বাধীনতার পক্ষে আওয়ামী লীগের অবস্থান হিসেবে সেই সময়কার আওয়ামী লীগের কোনো ফোরামের কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত, ঘোষণা, কর্মসূচির কোনো উপস্থাপনা আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ করেনি। স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ কীভাবে গড়ে তোলা হবে, বিকশিত করা হবে, বিজয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে সে সম্পর্কিত কোনো রণণীতি ও রণকৌশল শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ দেয়নি, কেউ আজ পর্যন্ত তার কোনো রেফারেন্সও দেয়নি। “পাকিস্তান-জিন্দাবাদ” ধ্বনি দেয়া শেখ মুজিবের ৭ মার্চের দীর্ঘ ভাষণে উত্থাপিত মাত্র দুটো বাক্যই একটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করা, এগিয়ে নেয়া ও বিজয়ী করার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। মুক্তিযুদ্ধ এত সহজ কোনো বিষয় নয়।

 আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃত্বের বিশেষত সংসদ সদস্যদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল, এরা পাকিস্তানের দোসর হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল। শেখ মুজিবসহ নেতৃত্বের একটি অংশ সুবিধাববাদী অবস্থান নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের কষ্টকর-ঝুঁকিপূর্ণ, রক্তাক্ত লড়াইয়ে অংশগ্রহণের বদলে এসব নেতৃত্বের একটা অংশ আত্মসমর্পণ করে নিরাপদ ও আরামদায়ক বন্দিত্ব বরণ করে নিয়েছিল এবং অপর অংশ ভারতে গিয়ে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর সহায়তায় আরাম-আয়েশের জীবন বেছে নিয়েছিল। কোনো উল্লেখযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী নেতা লড়াই করতে গিয়ে, মাঠ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে শহীদ হননি। অথচ এই আওয়ামী লীগই নাকি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী সংগঠন! এ হচ্ছে সত্যের অপলাপ মাত্র।

 আসল সত্য হচ্ছে এই যে, আমাদের দেশের অধিকাংশ বিশৃংখলা, অনাচার, বিভেদের উদ্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগ থেকেই। আওয়ামী লীগই হচ্ছে আমাদের দেশের অধিকাংশ মন্দ কাজের সূতিকাগার ও পথ-প্রদর্শক। আওয়ামী লীগকে বিরোধিতা ও প্রতিরোধ করতে গিয়েই বিভিন্ন ধারা, মত, পথ, দল ও গ্রুপের উদ্ভব হয়েছে, দেশ-জাতি-জনগণ বিভক্ত হয়েছে এবং পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের দেখানো মন্দ বিষয়গুলোকেই আত্মীকরণ করে নিয়েছে বিএনপি এবং সেগুলোকে আরো বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করেছে।

 মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং তার উপর ভিত্তি করেই যুদ্ধাপরাধের প্রকৃত বিচার করা হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কাজ। এসবের জন্য আওয়ামী লীগের কাছে ধন্না দিয়ে লাভ নেই। দোদুল্যমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির নেতৃত্বেও তা করা সম্ভব নয়। এটা না বুঝে চালানো সকল চেষ্টা নিষ্ফল হতে বাধ্য। এবং তার ফলাফল শাসকশ্রেণিরই কারো না কারো পক্ষে চলে যাওয়াটা অনিবার্য। আশা করি, শাহবাগ আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত দেশপ্রেমিক তরুণ-যুবকেরা এটা উপলব্ধি করবেন এবং নিজেদের প্রাণের আবেগ ও মনের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা আকাঙ্ক্ষা-আকুতিকে সঠিক পথে ও দিশায় স্থাপিত করবেন।

 ইতিহাসের সঠিক জ্ঞান ছাড়া কোনো আন্দোলনে সঠিক নেতৃত্ব দেয়া যায় না। স্বাধীন, সার্বভৌম, নয়াগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলার প্রজাতন্ত্রের স্বপ্নদ্রষ্টা, রূপকার, পথিকৃত ও নেতৃত্বকারী ছিলেন সিরাজ সিকদার, মাওলানা ভাসানী সহ বাম ঘরানার নেতা-কর্মীরা। তারাই দেশের অভ্যন্তরে থেকে স্বাবলম্বিতার ভিত্তিতে এদেশের মুক্তিযুদ্ধ গড়ে তুলেছেন ও বিকশিত করেছেন। এদেরকেই হত্যা-নির্যাতন করে, বারংবার মিথ্যা প্রচার চালিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে উল্টে দেবার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় আওয়ামী এই অপপ্রয়াসকেই সহায়তা করছে শাহবাগ আন্দোলন। তাই একে আমরা সমর্থন করতে পারি না।

 শাহবাগ আন্দোলন নিজেকে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক বলে দাবি করছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অবস্থান। নিজেরা রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে আনবেন, তা নিয়ে রাজনীতি করবেন, কিন্তু তা নিয়ে অন্যদের রাজনীতি করতে দেবেন না – এটা হতে পারে না। বর্তমান শ্রেণিবিভক্ত সমাজে রাজনীতির সাথে সম্পর্কহীন কিছুই হতে পারে না। শাহবাগ আন্দোলন ব্যাপক সংখ্যক জনগণের বাঁচা-মরার সাথে সম্পর্কিত কোনো মৌলিক দাবিকে সামনে আনছে না। ফলে জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগের হোতা আওয়ামী লীগ ও তার সরকারকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখতে পারলেও নিপীড়িত জনগণের স্বার্থরক্ষায় কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না শাহবাগ আন্দোলন। এমনকি বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় মার্কিনের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ, মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদকে বিরোধিতা করা ছাড়া, আমাদের দেশে সম্প্রসারণবাদকে বিরোধিতা করা ছাড়া, ব্যাপক সংখ্যক কৃষক জনগণের পক্ষাবলম্বন করা ছাড়া কীভাবে মানবতা বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা যায়, তারও কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছে না শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বকারীরা।

 শাহবাগ আন্দোলন দেশীয় ও বিশ্বের জলন্ত সমস্যাগুলো আড়াল করতে ভূমিকা রাখছে। ফলে বর্তমানে তা প্রতিক্রিয়াকেই সহায়তা করছে। ফলে তা কখনোই ব্যাপক সংখ্যক জনগণের আন্দোলনে পরিণত হতে সক্ষম হবে না। জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র  প্রীতির সম্পর্কের প্রতি বিরক্ত ও ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠা আরবান মধ্যবিত্ত জনগণের একটি প্রতিবাদী বিস্ফোরণ এবং পরবর্তীতে বিপথগামী হিসেবেই মূল্যায়িত হবে শাহবাগ আন্দোলন। 

( মানব রহমান )
     মুখপাত্র
পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি ( মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলন – MBRM)

Leave a comment